কাজী মামুন, পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় দলবেঁধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ধর্ষকরা ওই গৃহবধূর বাড়িতে থাকা টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) রাতে উপজেলার চরমন্তাজ ইউনিয়নের চরলক্ষী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় নির্যাতনের শিকার দুই সন্তানের জননীকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানাযায়, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বোরকা পরিহিত অবস্থায় তিনজন ব্যক্তি ওই গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণ করে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। এসময় তার ৬ বছর বয়সী মেয়ে ও ৯ বছর বয়সী ছেলে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলো এবং নির্যাতিতার স্বামী এসময় স্থানীয় বাজারে ছিলো।
পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরলক্ষী গ্রামে এক গৃহবধূকে গণধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতিত গৃহবধূ বর্তমানে পটুয়াখালী ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় শাকিল নামের একজনকে আটক করেছে রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ। গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত শাকিল শরিফ, আরিফ চৌকিদার ও আবদুল হাদী মুন্সি বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নির্যাতিতার পরিবার। অভিযুক্ত ধর্ষকরা একই ইউনিয়নের বাসিন্দা চরমার্গাট গ্রামের মজিবর শরীফের ছেলে শাকিল শরিফ, আলালদ্দি চৌকিদারের ছেলে আরিফ চৌকিদার ও চররুস্তম গ্রামের বাসিন্দা ছিদ্দিক মুন্সির ছেলে আবদুল হাদী মুন্সি। নির্যাতিতার স্বামী ও স্বজনরা জানায়, গৃহবধূর স্বামী কাসেম মোল্লা বাজারে গেলে সন্ধ্যায় গৃহবধূ হাঁস মুরগীর ঘরের দরজা দিতে যায় সেই সুযোগে ঘরের দরজা দিয়ে লুকিয়ে ঘরে প্রবেশ করে ঘরের চৌকির নিচে লুকিয়ে থাকে প্রতিবেশি শাকিল, আরিফ ও আবদুল হাদী, রাত আনুমানিক সারে ৯ টার দিকে গৃহবধূ বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমিয়ে যায়। পরে শাকিল শরিফ, আরিফ চৌকিদার ও আবদুল হাদী মুন্সি গৃহবধূর মুখ চেপে ধরে বাচ্চাদের কাছ থেকে অন্য রুমে টেনে হিচরে নিয়ে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায় তারা। অজ্ঞান অবস্থায় শুক্রবার রাতেই গালাচিপা হাসপাতালে নিয়ে গৃহবধূকে ভর্তি করে স্বজনরা, গালাচিপা হাসপাতালের চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। ১৭অক্টোবর শনিবার ভোর আনুমানিক ৫ টার সময় পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন গৃহবধূর স্বামী ও স্বজনরা। ওই গৃহবধূ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী শাকিলকে গ্রেফতার করেছে রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে রাঙ্গাবালী থানায় মামলা প্রকৃয়াধীন রয়েছে বলে নির্যাতিতার স্বামী জানিয়েছে। এলাকাবাসী এহেন ঘৃনিত জঘন্য অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
Leave a Reply